দক্ষিণ বাংলার ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার মহান ব্রত নিয়ে মহান নেতা অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শের-ই-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক ১৯৪০ সালে চাখার ফজলুল হক কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। জন্মলগ্ন থেকেই কলেজটি অত্র এলাকার গণমানুষের সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বৃহত্তর বরিশাল তথা গ্রাম-বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক-শ্রমিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির ছেলে-মেয়েরা শিক্ষার আলোতে আলোকিত হতে ছুটে এসেছেন চাখারের এই শিক্ষা-পল্লীতে। এখান থেকে আলোর মশাল নিয়ে তাঁরা ছড়িয়ে পড়েছেন দিকে দিকে, দেশে বিদেশে বহু জ্ঞানী-গুণীজন ছড়িয়ে রয়েছেন চাখারের ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে। ১৯৭৮ সালে কলেজটি জাতীয়করণের পর থেকে নতুন যুগের সূচনা হয়। বর্তমানে বি.সি.এস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের সুযোগ্য শিক্ষকমন্ডলী শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সদা তৎপর। তাদের নিরলস চেষ্টায় কলেজের শিক্ষার গুণগত মান ও ফলাফল দ্রুত উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। উপরন্তু স্থানীয় বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিবর্গের সদিচ্ছা ও পৃষ্ঠপোষকতায় বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। নিয়মিত পাঠাভ্যাসের সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ও জাতীয় দিবস সমূহ উদযাপন এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও মননের বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হচ্ছে। বি.এন.সি.সি ও রোভার স্কাউটের কর্মসূচী শিক্ষার্থীদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। কলেজ প্রশাসনের নিরলস প্রচেষ্টায় কলেজটির অতীতের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়কে আরও সম্প্রসারিত করার প্রয়াস অব্যাহত আছে। কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক এবং দেশবরেণ্য নেতৃবৃন্দের প্রচেষ্টায় বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আরও সাহসী পদক্ষেপে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাবে বহুদূর।